খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  নড়াইলে পিকআপ ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ চালক নিহত, আহত ২
  চিকিৎসার জন্য আগামীকাল লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া : ফখরুল; কাতার আমিরের পাঠানো ‌‌’বিশেষ এয়ার এম্ব্যুলেন্স’ বিমানে যাবেন তিনি

রামপালে শীতবস্ত্রের চাহিদা তুঙ্গে, ফুটপাতে কেনাকাটার ধুম

রামপাল প্রতিনিধি

শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত রামপালের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো হয়ে উঠেছে স্বস্তির জায়গা। ফয়লাবাজার মাঠ, ভাগাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে শীতবস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে। সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত পোশাক কিনতে পারায় মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে স্বস্তির হাসি।

শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে শিশুদের জাম্পার ১৫০-৩০০ টাকায়, পুরুষদের হুডি ২৫০-৩৫০ টাকায় এবং নারীদের সোয়েটার ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাদর ২৫০-৪৫০ টাকায়, উলের টুপি, গ্লাভস, এবং স্কার্ফ ৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে বাজারে এসব পণ্যের দাম কম থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।

ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, প্রতিটি বান্ডিল থেকে ২-৩ হাজার টাকা লাভ হয়। শীতের এই সময়টাই আমাদের ব্যবসার মৌসুম। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি আরও বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫-৭ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা হাসান আরিফ বলেন, ফুটপাতের পণ্যের মান বেশ ভালো। এখানে ৪০০-৫০০ টাকায় যেটা কিনছি, তা মার্কেটে গেলে ১০০০ টাকার নিচে পাওয়া যেত না।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা গৃহিণী রেজিয়া বেগম বলেন, শীতবস্ত্রের দাম আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকায় খুব উপকার হয়েছে। আমাদের পরিবারের ছয়জনের জন্য ফুটপাত থেকে পোশাক কিনেছি।

রামপালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো মানুষের জন্য কেবল কেনাকাটার স্থান নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এক ধরনের স্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে। শীতের প্রকোপ আরও বাড়লে এ ধরনের দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, আজ বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি আনুমানিক দুই থেকে তিন দিন ধরে থাকবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!